• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আ. লীগ সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপির নেই: হানিফ 

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২  

আ. লীগ সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপির নেই: হানিফ                
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি নেতারা ১০ ডিসেম্বরের স্বপ্ন দেখছেন। ১০ ডিসেম্বর বলে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ কোনো ভূঁইফোড় সংগঠন নয়। কোনো কচু পাতার পানি নয় যে ধাক্কা দিলে টলমল করে পড়ে যাবে। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া দল। ৭৩ বছরের আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপি বা কারো নেই। সরকার পতনের এসব হুঙ্কার বন্ধ করুন।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ জামাতখানায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পল্টন থানা ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি ক্ষমতা যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু তাদের মধ্যে দেশ পরিচালনার মেধা ও দক্ষতা নেই। রাজনৈতিক কর্মসূচি যদি গণতান্ত্রিকভাবে পালন করতে পারেন আমাদের পক্ষ থেকে বাধা নেই। আন্দোলনের দোহাই দিয়ে দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা, নাশকতা করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করবে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মোকাবিলার প্রয়োজন পড়বে না। আপনাদের মোকাবিলার জন্য সরকারই যথেষ্ট।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনে হবে জানিয়ে হানিফ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনকে আরও অধিক গ্রহণযোগ্য করার জন্য যদি সংবিধানের মধ্যে থেকে আপনাদের কোনো পরামর্শ থাকে আপনারা দিতে পারেন। সরকার ও নির্বাচন কমিশন অবশ্যই বিবেচনা করবে।

বিএনপি নেতাদের রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের জন্য দেশের জনগণ বিএনপির উপর স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা দিবে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, গত পরশুদিন চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে মির্জা ফখরুল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বললেন, র‌্যাবের উপরে শুধু নিষেধাজ্ঞা না, বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য। লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যেতে হয়। দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা এই দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করেছে। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতা কাজ করেছেন। এর আগে ২০১২ সালে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া জিএসপি বাতিল করে গার্মেন্টস সেক্টরে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। তারা স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাসী নয়। বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনে দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চায়।

তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই, ধিক্কার জানাই। মির্জা ফখরুলকে বলবো, আপনি যে রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দিয়েছেন এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিন। আপনি জাতির কাছে ক্ষমা চান। আর না হলে দেশের জনগণ বিএনপির ওপর স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা দিবে।

বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিজেরা মারামারি করে সরকারের দোষ দিয়ে মায়াকান্না করছেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, লন্ডনে বসে তাদের নেতা তারেক রহমান স্লোগান দিলো টেক ব্যাক বাংলাদেশ। টেক ব্যাক বাংলাদেশ মানে কি? বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়া। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের মধ্যে সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিটি সেক্টরে কমিশন বাণিজ্য করেছে। কেউ যাতে প্রতিবাদ না করতে না পারে সেজন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। এই মায়াকান্না তখন কোথায় ছিলো, চোখের পানি কোথায় ছিলো?

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইতিহাসের বর্বর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। পালামেন্ট নিন্দা পর্যন্ত করতে দেননি। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সংসদে দাঁড়িয়ে তামাশা করে বলোছিলো, শেখ হাসিনা নিজে ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন। আপনারা আজ সেই অন্যায়ের জবাব পাচ্ছেন। দেশের মানুষ অন্যায় অত্যাচারের জবাব দিচ্ছে।

হানিফ বলেন, যে বাংলাদেশ খাদ্য সংকটের দেশ ছিলো সেই দেশের ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। বিদ্যুৎহীন দেশকে আলোকিত করেছেন। আর আজ বিদ্যুতের নিচে দাঁড়িয়ে বিএনপি নেতারা হারিকেন জ্বালিয়ে নাটক করে। এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারেনি। খাম্বা বেঁচে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। তার নাম হয়েছিলো খাম্বা তারেক।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –